মাঠ হোক মন্দির

“দেয়ার ইজ এ গড উইথ ইন আস”- ওভিদ

ঠিক কবে থেকে এ মন্দির স্থানীয়রা কেউ জানে না , বহু পুরোনো এর বাইরের চেহারা দেখলে ঠাহর করা যায় , ছোট্ট গর্ভগৃহ , অন্ধকারে ডুবে আছে মাতৃ মূর্তি – ফলে জলে ফুলে ঢাকা , পুরোহিত কে এগিয়ে দিলাম একটা দেশলাই বাক্স , তা জ্বালিয়ে প্রদীপ ধরিয়ে রাখলেন তিনি , এক মূহুর্তের মধ্যে আরও সব সারিবদ্ধ দেবতার মুখ দেখতে পাওয়া গেল; কোনটি ব্রোঞ্জ মূর্তি, কোনটি বা হর্ষিত পাথরের। নির্বাক অবাক করে দেশলাই বাক্সের কাঠিগুলোর দৈর্ঘ্যের মতো দেবতার চেহারা গুলো একবার বেঁচে উঠছে, আবার বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কাঠি গুলোও যেন রহস্যময় খিলখিল করে হেসে যাচ্ছে। পুরোহিত যোগাসনে বসে ধ্যানমগ্ন, বিমূঢ় হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ” এগুলো কী ?- উত্তর এলো – অষ্টহাতি দেবতা , প্রার্থনা করো একমনে অভিষ্ট সিদ্ধ হবে !

একটি অবিশ্বাসী দিয়াশলায় কাঠির বাক্স গলা ঝেড়ে কেশে জিজ্ঞেস করল , ” তুমি কি কাঠি গুলো গুনতে সক্ষম? উত্তর এলো, আঠারো ! – প্রতিবাদ করলো সে। – ” এক – ই এক ই রকম । আমি বললাম, হে পুরোহিতের অষ্টহাতি দেবতারা , আর কতদিন এই বদ্ধ গোপন গুপ্ত গৃহের অন্ধকার কোনে পড়ে থাকবে? বেড়িয়ে এসো সূর্যের আলোয়, আলোকিত করো আকাশ বাতাস চরাচরকে , ওই ছেলে মেয়েরা ব্যাট হাতে রাস্তায় খেলছে সৌরভ শচীন বিরাট মিতালী হবার আশায় , – এখন থেকে এরাই হোক এদের ধ্যান জ্ঞান দেবতা , আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত করে তুলুক , ভরিয়ে দিক আমাদের এই দেশের সবুজ মাঠ ময়দান গুলোকে , – এখন থেকে এঁরাই হোক এদের দেবতা , – এখন থেকে এই মাঠ ময়দান গুলোকেই বানাক মন্দির। আমাদের রাম শ্যাম রহিম হোক এরাই।।